বড় সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগমন ঘটেছে তরুণ নাঈম শেখের। টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে। ভারতের মাটিতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে খেলেন দুর্দান্ত ৮১ রানের ইনিংস। প্রমাণিত হয়ে যায় নাঈমের সামর্থ্য। এবার সুযোগ পেয়েছেন ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের দলে। ছোট ফরম্যাটে নিজেকে প্রমাণের পর এবার একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চটা দিতে প্রস্তুত নাঈম।
বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘ভালো লাগছে, ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছি। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বিসিবি একাদশের খেলা হচ্ছিল, তখন স্যারেরা বলেছিলেন সাদা বলে অনুশীলন করতে, সামনে খেলা আছে। কথা হয়েছে আগেই। সাদা বলের খেলা খুব উপভোগ করি। লাল বলে সম্প্রতি খুব একটা ভালো সময় যায়নি। বাড়িতে গিয়ে সাদা বলে কাজ করেছি। কিছু জিনিস আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে কাজ করার জন্য। এসব নিয়েই কাজ করছি। প্রস্তুতি সব মিলিয়ে ভালো।’
২০১৮ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৪৬.৩৩ গড়ে নাঈম করেন ৫৫৬ রান। পরের আসরে টানা তিন সেঞ্চুরিসহ ৫৩.৮০ গড়ে করেন ৮০৭ রান। সাদা বলে যত উজ্জ্বল লাল বলে ততটাই বিবর্ণ নাঈম। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৬ ম্যাচে ১৬.৬৩ গড়ে করেছেন কেবল ১৮৩ রান। একমাত্র ফিফটিতে করেছেন ৬৫। তবে লাল বলে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় নাঈমের মুখে, ‘লাল বলে মাঝে অনেক বড় একটা বিরতি ছিল। লাল বল নিয়ে কাজ করা হয়নি। অনুশীলন করলে ঠিক হয়ে যাবে। ছোট ছোট ভুল হচ্ছে, এই জন্য আমি লাল বলে সফল না। আরও অনুশীলন দরকার।’
এই মুহূর্তে নাঈমকে সাদা বলে বিবেচনা করা হলেও একাদশে জায়গা পাওয়া তার জন্য কঠিন হবে। ওপেনিং পজিশনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে বাংলাদেশ দলে। প্রথম পছন্দ হিসেবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার সঙ্গী হিসেবে কখনো লিটন দাস, কখনো সৌম্য সরকারকে দেখা যাচ্ছে। লিটন তো অনেকটা অটো চয়েস হয়ে গেছেন। তবে ২০ বছর বয়সী নাঈম এতে পিছিয়ে যাচ্ছেন না। তিনি জানান, লড়াই যত তীব্র আনন্দ তত বেশি। যত বেশি চ্যালেঞ্জ থাকে সামনে, নিজেকে অনুপ্রণিত করা তত সহজ।
নাঈম আরও বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে মজা লাগে আমার কাছে। সব সহজে হয়ে গেলে ভালো লাগে না। চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলা উপভোগ করি। সিনিয়র ভাইদের সঙ্গে খারাপ-ভালো এসব নিয়ে আলোচনা হয়। চাপের মুহূর্তগুলো কিভাবে সামলাতে হয়, এসব নিয়ে কথা হয়।’